আজ সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচটা ভারত জেতেনি, আবার হারেওনি। বাংলাদেশ শেষ ওয়ানডেতে দারুণ বোলিংয়ে তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং রুখে দিয়ে টাই করেছে। তাতে সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ এ। বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে এটি বড় পাওয়া। তবে হারমানপ্রীত কৌর, ভারতের অধিনায়ক হতাশ। বিশেষ করে আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ তার।মাঠেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বিষেদাগার উগরে দিয়েছেন স্টাম্প ভেঙে।
পরে ম্যাচ শেষেও আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করলেন রাখঢাক না রেখে। হারমানপ্রীত বলেছেন, ‘আমি মনে করি অনেক কিছু শেখার ছিল এই ম্যাচ থেকে। ক্রিকেট ছাড়াও, যে মানের আম্পায়ারিং হয়েছে তাতে আমরা খুবই বিস্মিত। কিন্তু... আমরা সামনে যখন বাংলাদেশে আসবো নিশ্চিত করে আসতে হবে এ ধরনের আম্পায়ারিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ঠিক সেভাবেই আমাদেরকে খেলতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন সফরকারী দলের অধিনায়ক, ‘তারা ভালো ব্যাটিং করেছে যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী দারুণ ব্যাটিং করেছে। প্রচুর সিঙ্গেল রান নিয়েছে যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাঝে আমরা কিছু রান দিয়ে দিয়েছি। যদিও পরবর্তীতে আমরা নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছিলাম। যেটা আগে বললাম, শোচনীয় আম্পায়ারিং। আমরা আম্পায়ারের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে খুবই হতাশ।’
নিজে ব্যাটিংয়ে গিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে শুধু মেজাজে হারানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও হতো। কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক আউট হওয়ার পর যে আচরণ করেছেন, সেটি মোটেও ক্রীড়াসুলভ ছিল না। ভারতীয় ইনিংসের ৩৪তম ওভারের ঘটনা। নাহিদা আক্তারের ফুল লেন্থ বল সুইপ করার চেষ্টায় করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করতে পারেননি তিনি।
বল হারমানপ্রীতের প্যাডে লাগা মাত্র উদযাপন করতে শুরু করে দেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা। আম্পায়ার তানভির আহমেদ আঙুল তুলতে সময় নেননি। আম্পায়ারের আঙুল উঠতে দেখেই ফুঁসে ওঠেন ভারতীয় অধিনায়ক। শুরুতে হাত দিয়ে থাবা মারলেন আরেক হাতে ধরে রাখা ব্যাটে। তখন আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন আগুনে দৃষ্টিতে।
এরপর ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে এতটাই জোরে মারলেন যে, একটি স্টাম্প উপড়ে গিয়ে পড়লো অনেক দূরে! সেখানেই থামেননি তিনি। ক্রিজ ছেড়ে যাওয়ার সময় আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে কিছু বলছিলেন। এরপর ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে গ্যালারির দর্শকদের উদ্দেশেও কিছু বলতে দেখা যায় তাকে। আঙুল উঠিয়ে দেখালেন ‘থাম্বস আপ।’
যদিও বারবার টিভি রিপ্লে দেখে মনে হচ্ছিল, পরিষ্কার এলবিডাব্লিউ। ১৪ রানে আউট হন হারমানপ্রীত। বোঝাই যাচ্ছিল আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। তবে ক্রিকেট মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি দেখানোর ইতিহাস প্রচুর থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এমন প্রতিক্রিয়া দেখানোর নজির বিরল।